১২ বছর পর ব্রিকস পরিবার নতুন সদস্যদের স্বাগত জানিয়েছে। সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আর্জেন্টিনা, ইরান এবং ইথিওপিয়াকে ব্রিকস পরিবারের সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকরগত বৃহস্পতিবার ১৫তম ব্রিকস নেতৃবৃন্দের বৈঠকের বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা হয় যে, এখন পর্যন্ত ব্রিকস সদস্য সংখ্যা চার থেকে বেড়ে ১১ হয়েছে।
বর্তমান বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থা মূলত এমন এক যুগে গঠিত হয়েছিল যখন উন্নত দেশগুলি বিশ্ব অর্থনীতি এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির একটি প্রধান অংশের জন্য দায়ী ছিল।উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ৪০ শতাংশের জন্য দায়ী এবং ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধির ইঞ্জিনএই পরিপ্রেক্ষিতে, কম উন্নত দেশগুলির ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে প্রতিফলিত করার জন্য আমাদের বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থার একটি ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন।
সদস্যপদ সম্প্রসারণ ব্রিকস দেশগুলোর জন্য এবং বিশ্বের জন্য একটি নতুন সূচনা পয়েন্ট। বৈশ্বিক দক্ষিণের যা প্রয়োজন তা একটি ছোট একচেটিয়া গ্রুপ নয়, বরং একটি উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক,পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর পৃথিবী চিরস্থায়ী শান্তির সাথে, সার্বজনীন নিরাপত্তা এবং সাধারণ সমৃদ্ধি।
প্রায় সব ব্রিকস সদস্য দেশই প্রাচীন সভ্যতার কোলাহল থেকে এসেছে।এই সম্প্রসারণ নিঃসন্দেহে সভ্যতার মধ্যে পারস্পরিক শিক্ষাকে উৎসাহিত করবে এবং মানব সমাজের জন্য আরও সমন্বিত ও সভ্য উন্নয়ন মডেলের অন্বেষণকে উৎসাহিত করবে।যা পশ্চিমা দেশগুলোর জঙ্গলের আইন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
ব্রিকস দেশগুলির সদস্যপদ সম্প্রসারণের বিষয়ে যে চুক্তি হয়েছে তা প্রমাণ করে যে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যেভাবেই হোক না কেন,সহযোগিতার মূল উদ্দেশ্য এবং সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হবে নাব্রিকস দেশগুলি নীতিগতভাবে বাণিজ্য করে না, বহিরাগতের চাপে পড়ে না এবং অন্য দেশের ভাসালে পরিণত হয় না।ছয়টি নতুন সদস্যের যোগদান এরই প্রমাণ এবং বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থায় নতুন প্রাণশক্তি জোগাবে।.